ভোলা প্রতিনিধি ॥ ঈদুল ফিতর গেছে পাঁচদিন আগে। ঢাকা থেকে যারা দেশের বিভিন্ন জেলায় গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন ঈদ উদযাপন করতে, তাদের অনেকেই এখনো কর্মস্থলে ফেরেননি। তাই এখনো কর্মস্থলগামী মানুষের চাপ রয়েছে সড়ক, মহাসড়ক ও নৌপথে। বুধবার (১৯ মে) ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ইলিশা ঘাটে দেখা যায়, লঞ্চ বন্ধ, তাই চরম দুর্ভোগ উপেক্ষা করেই নৌপথে ফেরিতে ভোলা থেকে কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ। ইলিশা ঘাট দিয়েই যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। তাদের কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব। এদিকে,‘লকডাউনে’ লঞ্চ, সি ট্রাক ও ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়ছেন তারা। কর্মস্থলে ফিরতে বেশি দেরি হলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে রোজগারের চাকা। তাই বাধ্য হয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ডেঞ্জার জোনে ছোট ছোট ট্রলারে করেও ঢাকা ফিরছেন যাত্রীরা। ভোলার যাত্রীদের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম ফেরি হওয়ায় ফেরিতেই গাদাগাদি করে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা। অপরদিকে, বুধবার (১৯ মে) দুপুরে ছয়টি ট্রলার ও একটি স্পিটবোট জব্দ করেছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলাচলের অভিযোগে ফেরিঘাট এলাকা থেকে ট্রলার ও স্পিডবোট আটক করা হয়। ভোলার সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র সহজ যোগাযোগের মাধ্যম নৌপথ হওয়ায় নৌরুটেই চলাচল করতে হয় যাত্রীদের। ঈদ শেষে ওইসব যাত্রীরা কর্মস্থলে ফিরছেন। ইলিশা ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার পারভেজ খান বলেন, যাত্রীরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেরিতে যাতায়াত করেন, সে জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি দেখছেন।
Leave a Reply